যেসব ফল খেলে কোলেস্টেরল কমবে, ভালো থাকবে হৃৎপিণ্ড

যেসব ফল খেলে কোলেস্টেরল কমবে, ভালো থাকবে হৃৎপিণ্ড

যেসব ফল খেলে কোলেস্টেরল কমবে, ভালো থাকবে হৃৎপিণ্ড

সুমন মাহমুদ
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭

আমাদের রক্তে মোমজাতীয় একধরনের পদার্থ থাকে, যাকে আমরা চিনি কোলেস্টেরল নামে। এটি শরীরের সুস্থ কোষ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে চিন্তার কিছু নেই—প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফল নিয়মিত খেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

ফল যেভাবে কোলেস্টেরল কমায়

ফলে আছে ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হৃদ্‌যন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের শোষণ কমিয়ে দেয় এবং তা শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে।

লেবুজাতীয় ফল 🍊

কমলা, জাম্বুরা, লেবু ইত্যাদিতে বিদ্যমান ভিটামিন সি ও পেকটিন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এসব ফলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ধমনিকে নমনীয় রাখে এবং প্রদাহ কমায়।

খাওয়ার পরামর্শ:

  • দিনের শুরুতে এক গ্লাস তাজা কমলার রস খেতে পারেন।
  • পানি বা সালাদে লেবু যোগ করুন।
  • রস করে না খেয়ে ফলটি আস্ত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • জাম্বুরা খাওয়ার আগে ওষুধের প্রতিক্রিয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপেল 🍎

আপেলে থাকা পেকটিন ও পলিফেনল কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তনালিকে সুরক্ষা দেয়। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উৎস।

খাওয়ার পরামর্শ:

  • ওটমিলে আপেল যোগ করে নাশতা বানাতে পারেন।
  • সালাদে টুকরো করে যোগ করুন।
  • আপেল রস না করে খাওয়া ভালো।

কলা 🍌

কলায় রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার ও প্ল্যান্ট স্টেরল, যা কোলেস্টেরল শোষণ রোধ করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

খাওয়ার পরামর্শ:

  • সকালের সিরিয়াল বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান।
  • স্মুদি বা কলা দিয়ে বানানো পাউরুটি স্বাস্থ্যকর।
  • জুস না করে আস্ত কলা খাওয়াই ভালো।

ফল খাওয়ার কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ

  • যতটা সম্ভব খোসাসহ ফল খান (যদি খাওয়া যায়)।
  • জুস নয়, আস্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন যাতে ফাইবার বজায় থাকে।
  • সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • ফলের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি পাওয়া যায়।
  • মধ্যম পরিমাণে ফল খাওয়াই উত্তম—অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন সঠিক পরিমাণ ফলমূল। প্রকৃতিই পারে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে।

Previous Post Next Post